বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বিপ্লবকে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, তাহেরপুর কলেজ চত্ত্বরের ভেতরে ও কলেজের চারদিকে সাতটি পুকুরসহ প্রায় তিন একর সম্পত্তি রয়েছে। রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যা আবুল কালাম আজাদ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালে কলেজের সেই সম্পত্তিতে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪১টি ঘর নির্মাণ করেন। পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত এসব ঘর থেকে ভাড়া দিয়ে টাকা উঠাতে থাকেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘরগুলো দখল করে। পরে তাহেরপুর কলেজের নামে সেগুলো ভাড়া দেন তারা। সম্প্রতি ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম কলেজ কর্তৃপক্ষকে ওই ঘরগুলো থেকে ভাড়া আদায় করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, সাবেক এমপিকে পুর্নবাসনের চেষ্টা করছেন ইউএনও।
মাহবুবুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে তাহেরপুর পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক আলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার তাহেরপুর পৌরসভার হরিতলা মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বিপ্লবও অংশ নেন।
বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী নেতার অংশ নেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেওয়া নিয়ে মাহবুবুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, কলেজের শিক্ষক হিসেবে আমি সেখানে যোগ দিয়েছিলাম।’